নমস্কার বন্ধুগণ আপনাদের স্বাগত জানাই আমাদের ব্লগে। আজ আমরা আলোচনা করবো পশ্চিম বংগো রাজ্য সরকারের একটা পরিকল্পনার ওপর জেতার নাম হলো মুক্তধারা প্রকল্প। এই পরিকল্পনা কে তৈরী করা হয়েছে বিশেষ করে মহিলা ও পরিবারের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মুক্তিধারা প্রকল্পের ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব দূর করতে এই প্রকল্প স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সামগ্রিক উন্নয়ন করবে। জীবনযাত্রায় স্থিতিশীলতা আনতে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব মোকাবিলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনির্ভর তার মাধ্যমে আর্থিক সংস্কার আনতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গ মুক্তিধারা প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে প্রশিক্ষণ দেয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিম বঙ্গের সমস্ত গরিব এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী গ্রামীণ এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করবে । তারা তাদের জীবিকার জন্য শাকসবজি চাষ , সালের পাতা অর্থাত ভোজ পাত্রের চাষ, হাঁস-মুরগি, ভেড়া পালন, হাঁস-মুরগি, শূকর পালন এবং অন্যান্য লালনপালন সহ প্লেট তৈরি করতে এই মুক্তিধারা পরিকল্প সহায়তা করে। এছাড়াও সিদ্দ চাল, দুগ্ধ প্রাণী এবং প্রকল্প গুলি থেকে উৎপাদনের মাধ্যমে, এই প্রকল্পটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিটি পরিবারকে বিভিন্ন আয় উত্পাদন ক্রিয়াকলাপে অংশ নিতে এবং প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে কমপক্ষে 3000₹ উপার্জন করতে অনুপ্রাণিত করে।
পশ্চিমবঙ্গ মুক্তিধারা যোজনা মুখ্য উদ্দেশ্য | Muktidhara Scheme 2024 : Objectives
- মুক্তিধারা প্রকল্পের আওতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্ব-নিযুক্ত মানুষের আয় দ্রুত বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের পারিবারিক আয় বৃদ্ধি করা হয়।
- আয় বাড়াতে পুকুর পরিষ্কার, মৎস্য, লাহ, সবজি, শাল পাতার প্লেট তৈরি, মুধি, ছাগল পালন, পিগরি দুগ্ধজাত পশুপালন, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি প্রশিক্ষণ এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সকল কে দেয়া হয়।
- গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব দূর করতে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মুক্তিধারা প্রকল্প চালু করেছিলেন।
- ৭ মার্চ, ২০১৩ তারিখে প্রথম পুরুলিয়া জেলা থেকে মুক্তিধারা প্রকল্প চালু করা হয়। এটি নাবার্ডের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
- এই প্রকল্পের আওতায় বলরামপুর ও পুরুলিয়া জেলার ১৩৯টি এসএইচজি-র সদস্যদের বড় আকারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
- এই প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত এসএইচজিগুলি পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা প্রশিক্ষিত।
- পশ্চিমবঙ্গ মুক্তিধারা প্রকল্প সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, Official Website
তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করে এটি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
- প্রশিক্ষণ এবং আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ যেমন চাষের পদ্ধতি, সার ব্যবহারের পদ্ধতি ইত্যাদি।
- প্রতিটি গ্রামের ২৫-২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
- মহিলারা গ্রামেই কাজ পাবেন। মহিলারা 2% সুদে ঋণ পাবেন।
পশ্চিমবঙ্গ মুক্তিধারা যোজনার সুখ এবং সুবিধা | Muktidhara Scheme 2024 : Benefits
- প্রশিক্ষণ সফলভাবে পাস করার পর, এসএইচজিগুলি কম সুদে ব্যাংকথেকে ঋণ পাবে। ঋণের পরিমাণ ১.২৫ লক্ষ ₹ হবে।
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি কার্যক্রমে বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে দেওয়া হয়েছে। যাতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে স্পঞ্জির সামগ্রিক আয় বাড়ানো যায়।
- এই প্রকল্পটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (এসএইচজি) প্রতিটি পরিবারকে বেশ কয়েকটি আয় উৎপাদন কার্যক্রমে অংশ নিতে এবং প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০০০₹ উপার্জন করতে অনুপ্রাণিত করে।
- এই প্রকল্পটি গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব হ্রাস করবে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সামগ্রিকভাবে বিকাশ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আরেকটি স্বপ্নের প্রকল্প মুক্তিধারা যোজনা এখন পশ্চিম ও বর্ধমান সহ রাজ্যের ১১টি জেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। সোমবার রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক, স্বকর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এই তথ্য দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ১১টি জেলার ৩৮টি বিভাগের আওতায় ১৬৩০টি পঞ্চায়েতের ১৬,০০০ টি গ্রাম মুক্তিধারা প্রকল্পের আওতায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নতির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বলা
মুক্তিধারা প্রকল্পের আওতায় এসএইচজি ও স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আয় বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, দারিদ্র্য বিমোচন, পুকুর পরিষ্কার, মৎস্য, লাহ, সবজি, শাল পাতার প্লেট, মুর্দি, ছাগল পালন, শূকরপালন, দুগ্ধজাত পশুপালন, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি। তাদের ১.২৫ লক্ষ টাকা ঋণও দেওয়া হবে।
পাইলট ভিত্তিতে, পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর এবং পুরুলিয়া-১ ব্লকের ১৩৯ টি এসএইচজি-র সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। উত্তর প্রদেশের রায়বারে থেকে ৫ সদস্যের একটি মহিলা প্রশিক্ষণ দল (রাজিব গান্ধী মহিলা বিকাশ পোরিযোজনার এসিআরপি) প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা শিবির পরিচালনা করে।
নিষ্কর্য | Muktidhara Scheme 2024 : Conclusion
মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এএসটি বেঙ্গল সরকার একটি নতুন প্রকল্প “মুক্তিধারা” চালু করেছে। আজ নদিয়া জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
জীবিকা উপার্জনে স্থায়ীতা আনতে, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্য ও আর্থিক উন্নতি সাধনের জন্য মুক্তিধারা প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।
আশা করি কি আপনারা আমাদের ব্লগের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন কি মুক্তধারা পরিকল্প তা কি? এবং কাদের জন্য এই পরিকল্পনা তা পশ্চিম বংগো সরকার চালু করেছেন। রাজ্যের কল্যাণ হোক সকল মানুষ সুখে থাকুক এই জন্য মুক্তধারা পরিকল্প তৈরি করা।
| पश्चिम बंगाल सरकारी योजनाएं | ग्रेजुएशन कोर्स | सरकारी योजनाएं |